দিন গুজরান

দিন শেষে –
সব পাখি ঘরে ফেরে- ছোট হোক নীড়।
মোর গায়ে লেগে আছে ঘামের আবির।
ক্লান্ত -শ্রান্ত হয়ে-
প্রতীক্ষায় প্রহর গুনে- দিন গুজরান।
আমি শুধু বসে ভাবি; কবে হবে অবসান?

মন আর মস্তিষ্ক

মন আর মস্তিষ্ক ২ শব্দের অদ্যাক্ষর ‘ম’ দিয়ে। অনেকেই বলে থাকেন এ দুটি নাকি এক এবং অভিন্ন। তবু প্রায় সবাই ২টির অবস্থান ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় নির্দেশ করে। একটি মাথায় আরেকটি বুকে।মস্তিস্কের অবস্থান হিসেবে মগজকে চিহ্নিত করা সম্ভব হলে, আজও পর্যন্ত মনের অবস্থানকে নির্দিষ্ট করা সম্ভব হয়নি বলে জানি।
অনেক অনেক আগে মানুষ নামক প্রানিটির মনের আয়তন মস্তিকের আয়তন চেয়ে বিশাল ছিল বলে ধারণা করা হয়। মানুষ যত বেশি যৌক্তিক হয়েছে তার মস্তিকের আয়তনও বড় হয়েছে। সমান্তরাল ভাবে ছোট হয়েছে তার মন।মস্তিষ্ক কর্তৃত্ব করতে শুরু করেছে মনের উপর।
মানুষ শব্দটিকে অনেকেই ভাঙেন মন (আবেগ) +হুশ(মস্তিষ্ক)=মানুষ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে মানুষ যৌক্তিক হতে হতে যদি আবেগ (মন) শুন্য হয়ে পড়ে তবুও কি তাকে মানুষ বলবো?
নাকি বিরাট মস্তিষ্ক এর নতুন কোন প্রানি হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে।

নাম-১: ধর্ম নিরপেক্ষ নামের সন্ধানে

নামে কি আসে যায়? কে জানি বলেছিল এই কথা? মনে রাখার চেস্টাও করিনি। কিন্তু, একজন মানব নাম জন্মের অনেক পরে হলেও নাম ই একমাত্র
চিরস্থায়ী বস্তু। আকজন মানুষ সবচেয়ে বেশি ভালবাসে তার নামকে। বিশ্বাস না হয়। কারো
নামে গালি দিয়ে দেখতে পারেন।
আমরা কেউ আদম- হওয়া,
সক্রেটিস, আইনস্টাইন কে দেখি নি। তবুও তারা আমাদের কত পরিচিত। আপনি
একদিন থাকবেন না
; কিন্তু আপনার নাম কিছুদিন
হলেও থাকবে (নুন্যতম ৩ প্রজন্ম পর্যন্ত)।
যাইহোক, প্যাচালে আসি। নাম কি শুধুই শব্দের সমষ্টি? নাকি এর সাথে যুক্ত আরও অনেক কিছু।
ধর্ম নিরপেক্ষ নামের
সন্ধানে
সেদিন, আমার ১ জন মানুষের সাথে পরিচয় হল নাম অন্তরা‘ (বলেন তো নামটি
কোন লিঙ্গের)। আমি শুনেই মনে হল তিনি হিন্দু
, তাই দিদি বলে সম্বোধন করে বিব্রত হলাম। আচ্ছা, কোন মানুষের নাম শোনার সাথে সাথে ধর্মের বিষয়টি আমার অবচেতন
মনে আসলো কেন
? আচ্ছা ধর্মের বিসয় আসলেও
কেন তা সম্বোধনের সাথে সম্পর্কিত। তার নামে নাম কি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে
ধর্মকে প্রতিনিধিত্ব করে
?
আচ্ছা কিছু নাম দেখি বলেন
তো এরা কোন ধর্মের
?
পলাশ, শিমুল, জয়া, জুথি, নিউটন, 
শিল্পী, প্রেমিশা, প্রিয়ম, ইমন,
রতন, রাখি, তনু,
রাজু, প্রভৃতি।
এই নাম গুলো কোন ধর্মের
ঝালর  বহন করে না। তাহলে কি নামের সাথে
ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই
?
এবার আসি নামের পদবীতে-
নামের পদবি নানা ভাবে সময়ের পরিক্রমায় নির্ধারিত হয়। যেমন ধরেন গাজী
, শাহ, প্রভৃতি। এখন
এগুলোর সাথে ধর্মের যোগসাজস কোথায়
?
সেদিন একজন মানুষের সাথে
পরিচয় হলাম
, আমার নাম বলার পর তিনি
বললেন তন্ময়। আমি ভাই হিসবে সম্বোধন করলাম এবং দেখ হলে সালাম দিতাম। পরে জানলাম
,
তার নাম তন্ময় কর্মকার। এখন আর সালাম দিতে পারি
না এবং দাদা  বলে ডাকার চেস্টা করি।
যাইহোক, নিচের পদবী গুলো থেকে বলুন তো এরা কোন ধর্মের?
সরকার, ঠাকুর, মণ্ডল, ঢালী, চৌধুরী, প্রভৃতি।
নামের পূর্বের অংশ দিয়ে
নাকি বোঝা যায় কোন ধর্মের অনুসারী। একসময় বাংলায় মুসলমানদের নামের আগে মোঃ ব্যবহৃত
হত আর হিন্দুদের ক্ষেত্রে শ্রী। যদিও এখন সবায় সেতা ব্যবহার করতে অনেক অনীহা দেখা
যায়।
যাই হোক,  নাম দিয়ে কি একজন
মানুষের ধর্ম সম্পর্কে কি নিশ্চিত হতে পারি
?
(জানিনা, কোথা থেকে কোথায় আসলাম)
আপনাদের মুল্যবান আলোচনা
লেখাটাকে সমৃদ্ধ করবে।

Contemporary Political Perception



 ‘Odvut Uter Pithe Colese
Shadesh’
Motherland is traveling with a strange Camel. This is my personal
expression about the present condition of country. I have never seen language
movement, Independence movement, the movement against autonomy. So, I haven’t n
special experience. When ’Shabagh Chattar’
started their movement, I feel proud, because its our generation’s first step
towards justice. My personal observation about the ‘Ganajagoron Manch’ is that, it changes the natural equation of any
movement. Its presentation becomes an art & culture. Although some
intellectual people (Selim Reza Newton & so on) said that, speed of
cultural component gradually increase during crisis or movement. A lot of
music, letters, articles, posters, stickers, books, documentaries are being
made which are associated with the current movement.  Generally every movement has an enemy (by and
large ruling class). But, in this movement the enemy is invisible. On the one
hand, It’s quite seems to be against government but go with the political
manifesto of the ruling party. One the other hand, it’s against another
existing hegemony called religion. 
Bangladeshi people are belonging
with two different hegemonies. One called progressive, modern and another is
conservative in respect of religion. In every time in this country battle
happen between these two hegemonies; in various forms, different banners. Our
Father of Nation tries to incorporate these two hegemonies. But he failed. Our
country is not a secular country as well as a religious country. As well as Bangladesh
doesn’t follow capitalist or socialist state policy. So our country is hanging
in a predicament. The country men faces identity problem between Bengali or
Bangladeshi, Muslim or Hindu (Naturally other language are being invisible;
Don’t know why? Different in case of Ramu
incident) as well as, Bengali or ethnic. So every political party tries to keep
it illusion and wish to enjoy getting benefit.

However, ‘Awami league’ is successfully had as a feature with progressive
hegemony, but still have afraid about religious hegemony (obviously vote bank).
So they failed to make the constitution secular. In consistency they not
support the ‘Blogger Activist’ and not against the ‘Hefajate Islam’. Similarly the failure to aggregate progressive
hegemony BNP & Jatiya Party
always go with religious hegemony. Now this hegemony is raises their voices
against state power. So these two parties support the ‘Hefajate Islam’ and so on.
    

বোরখা, রোকেয়া এবং আমরা

কিছুদিন আগে মহাখালী’র ইন্সটিটিউট অফ পাবলিক হেলথের ক্যান্টিনে বসে সকালের নাস্তা খাচ্ছিলাম। আমি এবং আমার বন্ধু তৌহিদ।  আমাদের পাশের টেবিলে ২ জন মানুষ এসে বসল। একজন পুরুষ আর একজন নারী। পুরুষ টি সাদা পাঞ্জাবি-পাজামা পরিহিত। মুখে চাপ দাড়ি, গাত্র বর্ণ, উচ্চতা ঘটনার সাথে সামঞ্জস্য নয়। আর নারীটি কালো বোরখা পরিহিত। দুইজনেই মধ্যবয়সী এবং স্বামী-স্ত্রী মনে হলো তাদের কথাবার্তা এবং আচরণে। দেখে বোঝাই যায় দুজনে শহুরে জীবন যাত্রায় এখনও অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি।

যাইহোক, দুজনে সকালের খাবারের জন্য রুটি আর ডাল-ভাজি অর্ডার দিল। আমাদের অর্ডার আগে আসতে দেরি হচ্ছে। আমি বসে থেকে আশে পাশে দেখছিলাম (এটা আমার একটা অভ্যাস-খারাপ কি ভাল জানি না। সব কিছু-মানুষের খাওয়া, কথা বলা কিংবা কাজ করা প্রভৃতি।) ইতমধ্যে, একজন পুরুষ সম্ভবত আইসিডিডিআর’বি- এর স্টাফ (আইডি কার্ডের ফিতা দেখে তাই মনে হোল) এসে সেই নারী-পুরুষের টেবিলে বসল। নতুন আগত ব্যক্তি এই ক্যান্টিনের নিয়মিত কাস্টমার। উনি ওনার প্রতিদিনের স্বাভাবিক আচরণে কোন দিকে ভ্রুক্ষেপ না করে নাস্তা করতে লাগলেন।
এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়লেন নারীটি। পুরুষটি ফোনে কথা বলতে বলতে খাইতে লাগলেন আর নারীটি কি করবে? না করবে? পুরুষ টি খেতে লাগলেন নির্দ্বিধায়- আর নারীটি অনেক ভেবে চিন্তে ধীরে ধীরে রুটির টুকরো ছিড়ে দেয়ালের দিকে মুখ ফিরে নেকাব তুলে  আস্তে আস্তে মুখে দিলেন। রুটি ডাল ছাড়া। একটু প্ররে পুরুষটি কে তার ডালের বাটিটাও এগিয়ে দিলেন। নারীটি দুটি তন্দুর রুটি কোন কিছু ছাড়াই শুকনো খেয়ে ফেললেন।
কি এমন বিশ্বাস যে তাকে এই ধরনের আচরণে বাধ্য করলো। জীবন ধারনের জন্য খাওয়ার চেয়ে নেকাব রক্ষা করা কি এতই জরুরী। তিনি একান্ত বাধ্য না হলে নিশ্চিত এই পুরুষ সমাগত হোটেলে আসতেন না। কিংবা আমরা পুরুষরা কিভাবে নির্বিচার ভাবে নিজেদের উদার পূর্তিতে ব্যস্ত।
এই ঘটনা আমার দেখা এই প্রথম না।এবং শুধু মধ্যবয়সী কিংবা পৌঢ় নয়; তরুণ এবং নতুন মেয়েদের ক্ষেত্রেও (যারা শহুরে জীবনের এবং তথাকথিত ‘আধুনিক’ শিক্ষায় শিক্ষিত)। 

অনেক আগে যখন রোকেয়া সমগ্র পড়েছিলাম। এখন ঘটনা টা ঠিক হুবহু মনে নাই। কিন্তু যতদূর মনে আছে উনি ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন। একজন পর্দায় আবৃত নারী বিপদে পড়েছেন। কিন্তু পর্দা নষ্ট হবে বলে তার সহযাত্রী এবং বিপদাক্রান্ত নারী নিজেও কাউকে সাহায্য করতে দিচ্ছেন না।
বেগম রোকেয়ার যুগ এখন আর নাই। কিংবা আমরা পুরুষরা আমাদের সুখ- সুবিধা গুলো দেখছি। কিন্তু আমাদের আর একটি অংশকে পর্দার নামে বাইরে বের করে মানসিক অত্যাচার করছি কি না? নিজের বিবেক বারবার সেই প্রশ্ন করছে আমাকে।