অভিশাপ দাও!
তোমার অভিশাপে ধ্বংস হয়ে যাক সকল পুরুষ
এ পৃথিবী থেকে চিরতরে- মিয়ে যাক তাদের নাম আর অস্তিত্ব।
পুরুষ কখনোই শোধরাবার নয়-
যদি পুরুষত্বই না থাকে – তাহলে পুরুষ হবে কেমনে
পুরুষ মানেই শোষক, নিষ্পেষণকারী আর ধর্ষক!
কখনো চিন্তায় কিংবা কল্পনায় – স্বমেহনের উপজীব্য।
তাই পুরুষ কখনোই ভালো হবে না।
পুরুষ মানেই সুযোগ সন্ধানী – পটেনশিয়াল রেপিস্ট।
সে ধর্ষণ করে- আড্ডায়, চটিতে কিংবা নীল ছবিতে।
ধর্ষণ মানেই পুরুষের কাছে – এডভেঞ্চার
কতৃর্ত্ব জাহির করার হাতিয়ার- দূর্বলের প্রতি।
তাইতো ধর্ষিত হয়- শিশু, বালক, বৃদ্ধ – দূর্বলতম নারী।
নিজের স্ত্রীকেও ধর্ষণ করতে ছাড়ে না।
ধর্ষণ করে ভগিনী, ভাগিনা, ভাতিজি- মোড়ের পাগলীকেও
ঘরের গৃহকর্মী, অফিসের সহকর্মী – বিশ্বস্ত বান্ধবীকেও।
পুরুষ তাই কভু মানুষ ভাবে না তোমাকে হে নারী!
পুরুষ মানে না – দেশ, কাল, স্থান, পাত্র, ধর্মের বালাই
ধনী-গরীব; সাদা-কালো; শিশু- বয়ষ্ক; কোন কিছুই বাঁধা নয়
শুধু চাই- নরম মাংসপিণ্ডের এক টুকরো যোনি!
হে আছিয়া! তুমি তাই শুধু অভিশাপ দাও!
তোমার অভিশাপে মুছে যাক সকল পুরুষ –
সাথে মিলে যাই- আমিও!
আমিও যে এক পুরুষ! ধর্ষক!
তবেই বুঝি নিরাপদ বেড়ে উঠবে
আমার একমাত্র কণ্যা!
জুবা, সাউথ সুদান, মার্চ ০৮, ২০২৫।